যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিত, তবু সম্পর্ক রক্ষায় সচেষ্ট ইউক্রেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কিয়েভ জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে সবকিছু করবে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও প্রতিক্রিয়া
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিত করাই তার প্রমাণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়ান ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ট্রাম্প বলেন, “ওয়াশিংটন যে পরিমাণ সহায়তা দিয়েছে, তার তুলনায় ইউক্রেন যথেষ্ট কৃতজ্ঞ নয়।”
কিয়েভের প্রতিক্রিয়া
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিহাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অমূল্য ও জীবনরক্ষাকারী। তাই কিয়েভ ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।
তিনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব উন্মুক্ত চ্যানেল ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের লক্ষ্য একটাই— জয়ী হওয়া ও টিকে থাকা।”
ইউরোপের উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স উদ্বিগ্ন।
ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী বেনজামিন হাদাদ বলেছেন, “মার্কিন সহায়তা বন্ধ শান্তিকে আরও দূরে ঠেলে দিয়েছে এবং রাশিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
বিশ্বাসঘাতকতা নাকি কৌশল?
অনেক ইউক্রেনীয় নাগরিক ও রাজনীতিবিদ এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করছেন।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান ওলেকসান্দর মেরেঝকো বলেন, “ট্রাম্প আমাদের আত্মসমর্পণের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।”