তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড: অবৈধ দখলে সড়ক, নিত্যদিনের যানজট
ঢাকার তেজগাঁওয়ের মেয়র আনিসুল হক সড়কের ১০০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার ৭০ ফুটই অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান। ফলে রিকশার জন্য নির্ধারিত লেইন কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে, পথচারীরাও হাঁটার সুযোগ পাচ্ছেন না।
যানজটের মূল কারণ
ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দখল: পুরো সড়কের চারটি লেইনই চলে গেছে ট্রাক-পিকআপের দখলে।
রিকশার বাধ্যতামূলক মূল সড়কে চলাচল: নির্দিষ্ট লেইনে চলতে না পারায় রিকশাগুলো মূল সড়কে উঠে আসে, বাড়ায় যানজট।
ফুটপাত দখল ও পথচারীদের দুর্ভোগ: ট্রাকের কারণে ফুটপাতে বসে থাকা নেশাখোর ও পথচারীদের চলাচলের অযোগ্যতা।
ট্রাক পার্কিংয়ের জায়গার অভাব: নির্দিষ্ট ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় সড়কই পার্কিং জোনে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসনের উদ্যোগ ও বাস্তবতা
সাবেক মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করলেও পরবর্তীতে তা আবার পুরোনো রূপে ফিরে আসে। বর্তমানেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ট্রাক সরানোর উদ্যোগ নিলেও কার্যকর ফল পাওয়া যায়নি।
ট্রাক মালিক ও চালকদের মতামত
ট্রাক চালকরা বলছেন, ট্রাক রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার অভাবেই তারা বাধ্য হয়ে রাস্তা দখল করে রাখছেন। মালিক পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ট্রাক কোথায় থাকবে তা নির্ধারিত হয়।
পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়
বহুতল ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ: সরকার নির্ধারিত ৫ একর জমিতে দ্রুত ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা।
নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান: অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে কঠোর অভিযান পরিচালনা।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন: সড়কে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি ও ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
রিকশা লেইন ও ফুটপাত মুক্ত রাখা: পথচারীদের জন্য ফুটপাত উন্মুক্ত করা ও রিকশার জন্য নির্ধারিত লেইন কার্যকর করা।