শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিয়মিত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আদালতেও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জব্দ করা হচ্ছে। তবে, আদালতে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতির তথ্য গোপন করছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী কর্মকর্তা এখনো জিআর শাখায় কর্মরত থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হলেও, দুদকের জিআর শাখার আদালত পরিদর্শক সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের মিডিয়া ও জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে যখন সাবেক সরকারের সময়েও বিএনপির নেতাদের দুর্নীতির তথ্য সরবরাহ করা হত।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এবং আইনজীবীরা মন্তব্য করেছেন যে, দুদকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রকাশে অনীহা দেশবাসীকে সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত করছে।