দেশব্যাপী অপরাধের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যার মধ্যে পিটিয়ে হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, হামলা, দখল, চোরাচালান এবং মাদক ব্যবসা সহ অন্তত ১১ ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অপরাধের নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেন, সমাজে অপরাধের বাড়তি মাত্রা এবং অপরাধীদের অগ্রগতি থেকে স্পষ্ট যে, মানুষ এখন অসহিষ্ণু এবং ভুক্তভোগীরা helpless। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতার অভাব এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়াই এর মূল কারণ বলে তারা মনে করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে নারী-শিশু নির্যাতনসহ অন্যান্য অপরাধ ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর অপরাধ বৃদ্ধি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে এবং এর বিরুদ্ধে পুলিশের দমন তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।
দেশে অপরাধের বেড়ে যাওয়ার পেছনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, বেকারত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পারিবারিক সম্পর্কের অবনতিসহ বিভিন্ন কারণ দায়ী। এসব ঘটনার মোকাবিলায় সরকার জরুরি বৈঠক নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত হয়েছে।