পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জিম্মি হওয়া ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এই ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১১ মার্চ), যখন উগ্রবাদীরা ট্রেনের রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং গুলি ছুড়ে ট্রেনটিকে থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী বেলুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে অভিযান শুরু করে এবং ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। তবে, ১৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন এবং তাদেরকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী এখনও অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এই হামলার সময় উগ্রবাদীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায়, তারা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডদের সাথে যোগাযোগ করছিল। তারা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে এবং দুর্গম পর্বতাঞ্চলীয় এলাকার মধ্যে তাদের হামলা পরিচালনা করছে, যা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ারের দিকে রওনা দিয়েছিল এবং এতে প্রায় ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। সন্ত্রাসীরা ট্রেনটি থামানোর আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং চালককে গুলি করে আহত করে। এরপর, ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের কাছে থেমে যায় এবং সন্ত্রাসীরা যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের আটকিয়ে রাখে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কিছু যাত্রীকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে, সম্পূর্ণ পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।
এদিকে, বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে তারা বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।