গাজার ওপর ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়েছে, যার ফলে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকেই। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করছে, হামলাটি হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হয়েছে, তবে নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামলাটি মঙ্গলবার ভোরে চালানো হয়, এবং এর পর গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হামাসের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই হামলা, গাজার ওপর ১৯ জানুয়ারি থেকে চলমান যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা ভেস্তে দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী আবার হামলা শুরু করেছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাসের কাছ থেকে বন্দি মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকার করার পরই এই হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে, ইসরায়েলী সামরিক বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলকে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা করেছে এবং তাদের দাবি, গাজার আরও ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘অজানা পরিণতি’র মুখে ফেলেছে।
আলাপকরা জানিয়েছেন, এই হামলার সময় গাজায় অনেক মানুষ সেহরি খাচ্ছিলেন। একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ শোনা গেছে এবং যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গেছে। হামলার পর বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন এবং হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন।
এই হামলার পর গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, যেখানে মানুষদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজার ২১ লাখের বেশি মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং সেখানকার স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।