রাজউকের পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনা কোনো আবেদন ছাড়াই রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের একটি মূল্যবান প্লট নিজের কন্যা সায়মা ওয়াজেদের নামে বরাদ্দ দেন। অথচ সায়মা ওয়াজেদ নিজেই এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও রাজউক-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আবাসন সুবিধা ভোগ করছিলেন, যা গোপন রাখা হয়।
মামলার বাকি ১৬ আসামির মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা, যাঁরা এই বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক সদস্য ও কর্মকর্তারা এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ও প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
দুদক বলছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বেআইনিভাবে বরাদ্দ ও গ্রহণ করেছেন। বিষয়টিকে দুর্নীতির শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরও মামলার প্রস্তুতি রয়েছে।
এই মামলা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে করা প্রথম দুর্নীতিমূলক মামলা।