ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) জানিয়েছে, এখন থেকে গ্রাহকরা মাত্র ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত এক সেমিনারে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, পূর্বে এই মূল্যে ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট পাওয়া যেত, এখন থেকে তা বাড়িয়ে ১০ এমবিপিএস করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় ইমদাদুল হক আরও জানান, আইএসপিএবি চায় ব্রডব্যান্ড সেবার ন্যূনতম গতি ২০ এমবিপিএসে উন্নীত করতে। তবে এজন্য সংশ্লিষ্টদের লাইসেন্স আপগ্রেড করতে হবে। একই সঙ্গে, বিনিয়োগ বাড়াতে লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের দাবি জানান তারা। এ ছাড়া সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানান তিনি।
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই প্যাকেজ চালুর মাধ্যমে মূলত গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই সাবমেরিন কেবল ব্যান্ডউইথের মূল্য হ্রাস করেছে, ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ফাইবার সংযোগ সংক্রান্ত জটিলতা দূর হয়েছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ আরও দাবি করেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আইটিসির মাধ্যমে যে ব্যান্ডউইথ পান, তা পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট নয়, বরং একটি বিনোদন নির্ভর ইন্টারনেট। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ১ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ মাত্র ৮০ টাকায় কেনা যায়, সেখানে বাংলাদেশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহকরা সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ ১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট প্রত্যাশা করছিলেন। এই অবস্থায় বিটিআরসি যদি ১০ এমবিপিএসকেই সর্বনিম্ন মান হিসেবে চাপিয়ে দেয়, তা হলে সেটা হবে অনুচিত ও অনৈতিক। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।