জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপি যেসব প্রস্তাবনায় একমত হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে মতভেদ রয়ে গেছে, তার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে দলটি। রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ। ফখরুল জানান, কমিশনের কাজকে এগিয়ে নিতে বিএনপির প্রতিনিধিরা অনেক জায়গায় ছাড় দিয়ে একমত হয়েছেন, তবে কিছু প্রস্তাব নিয়ে জটিলতা ও মতপার্থক্যের কারণে কমিশনের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ঐকমত্যে পৌঁছাতে আমাদের প্রতিনিধি দল ধৈর্য ধরে অংশ নিয়েছে এবং যুক্তিনির্ভর আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে কমিশনকে সহায়তা করেছে।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, কিছু প্রস্তাব রাষ্ট্র পরিচালনার মূল কাঠামোকে দুর্বল করে ফেলার আশঙ্কা তৈরি করে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার কোনো প্রস্তাব সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক—এমন মতের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন তারা। তাই এসব প্রস্তাবে বিএনপির অসম্মতি দেওয়া সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা নয় বরং এর যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক।
এ কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হয়নি। তবে বিএনপি বলছে, র্যাব বিলুপ্তিসহ বেশিরভাগ বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।
৪৭টি সুপারিশের মধ্যে ৪৬টিতেই বিএনপি সম্মতি দিয়েছে। শুধু ২৯ নম্বর প্রস্তাব—যেটিতে আয়কর আইন ২০২৩-এর ধারা ৩০৯ সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে—সে বিষয়ে দলটি ভিন্নমত পোষণ করেছে।
মোট ২০৮টি সুপারিশের মধ্যে ১৮৭টিতে একমত, ৫টিতে আংশিক একমত এবং ৫টিতে দ্বিমত জানায় বিএনপি। বাকি ১১টি সুপারিশে একমত হতে পারেনি, যেগুলোতে প্রদেশ গঠন, পদোন্নতি ও প্রশাসনিক কাঠামোর বিভিন্ন অসংগতির প্রসঙ্গ রয়েছে।
৮৯টি সুপারিশের মধ্যে ৬২টিতে একমত, ৯টিতে আংশিক একমত এবং ১৮টি সুপারিশে যুক্তিসহ ভিন্নমত পেশ করেছে বিএনপি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রস্তাবগুলিতে একমত হয়েছে দলটি। তবে কিছু বিষয়ে আইনি বা সাংবিধানিক সংশোধন প্রয়োজন হবে বলে তারা মনে করছে।
২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে বিএনপি ১৪১টিতে একমত, ১৪টিতে আংশিক একমত এবং ৬৪টিতে ‘ভিন্নমতসহ একমত’ হয়েছে। ২৪টি প্রস্তাবে বিএনপির বিরোধিতা রয়েছে। দলটির মতে,