কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল ও তার সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে হাভানার বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল, যার মধ্যে রয়েছে ‘টররে কে’। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এসব পদক্ষেপ কিউবার দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বিবৃতিতে বলেন, কিউবান শাসকগোষ্ঠীর নৃশংস কর্মকাণ্ডের কারণে প্রেসিডেন্ট দিয়াজ-কানেল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলভারো লোপেজ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাসারো আলভারেজ এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন অর্থ যেন আর কিউবার দমন-পীড়নের পেছনে না যায়, সে কারণেই বিলাসবহুল হোটেলগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রুবিও আরও বলেন, “যখন কিউবার সাধারণ মানুষ খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবে দিন পার করছে, তখন শাসকগোষ্ঠী বিলাসবহুল জীবনে মেতে আছে—এটি এক নির্মম বৈপরীত্য।”
২০২১ সালের জুলাইয়ে কিউবায় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ হয়। সরকার সেই আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করে। এতে একজন নিহত হন এবং শত শত মানুষ আজও কারাবন্দি, যাদের অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রুবিও রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে হোসে ড্যানিয়েল ফেরার ও ফেলিক্স নাভারোর নাম উল্লেখ করেন, যাদের মুক্তি দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।