ঢাকা ও খুলনায় বিএনপির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতা, খুন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে রংপুরে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে রংপুর শহরের জিলা স্কুল মোড়ে জড়ো হতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার পর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাদের স্লোগানে ছিল:
- “মানুষ মারার অধিকার কে দিলো রে জানোয়ার?”
- “চাঁদাবাজি রাজনীতি একসাথে চলবে না”
- “চাঁদাবাজদের বাংলায় ঠাঁই নেই”
- “যুবদল মানুষ মারে, ইন্টেরিম কি করে?”
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নওশিন বলেন, “ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ড দেখে আমরা স্তম্ভিত। তার ন্যায্য বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছি। ইন্টেরিম সরকারকে বলছি— যারা সহিংসতা ছড়াচ্ছে তাদের দমন করুন।”
মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, “ঢাকায় পাথর মেরে মানুষ হত্যা আর খুলনায় গলা কেটে দেওয়া—এসব মধ্যযুগীয় বর্বরতার সঙ্গে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জড়িত। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি এবং জানাচ্ছি স্পষ্ট বার্তা—২৪-এর বিপ্লবের সৈনিকেরা রাজপথে ফিরে এসেছে। চাঁদাবাজ ও খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।”
জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, “৫ আগস্টের পর যে অমানবিকতা শুরু হয়েছে, তা আজও অব্যাহত। ইন্টেরিম সরকার যদি কোনো দলকে ভয় পায়, সেটা স্বীকার করুক। কিন্তু আমরা ছাত্রজনতা ভয় পাই না। আমরা অতীতের স্বৈরাচার হটিয়েছি, ভবিষ্যতেও তা করব। দেশ ও জনগণের পাশে থেকে এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।”
বিক্ষোভে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন এবং তারা চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে সুশৃঙ্খল ও দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করেন।