ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আওতাধীন যাত্রাবাড়ি থানা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান ফাহিমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শনিবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো ধরনের শিথিলতা দেখানো হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে— সে আহ্বানও জানানো হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের ফাহিমের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফাহিমের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তাদের দাবি, শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের বাসগুলো যাত্রাবাড়ি স্ট্যান্ডে গেলেই ভাঙচুর এবং চালক-শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর বাস স্ট্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার।
ফারুক চৌকিদার বলেন, “গত তিন দিনে আমাদের অন্তত ২৫টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় কয়েকজন চালক ও শ্রমিক আহত হয়েছেন। ফাহিম আমাদের কাছে এককালীন ৫ কোটি টাকা অথবা মাসে ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন।”
ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, “পদ্মা সেতু হওয়ার পর শান্তিপূর্ণ পরিবহন চলাচল করছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে ফাহিম এলাকায় স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন এবং প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছেন। এখন চাঁদার অংক বাড়িয়ে বিশাল অংকের দাবি তোলা হয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে মুশফিকুর রহমান ফাহিম বলেন, “আমরা নিজেরা একটি পরিবহন পরিচালনা করি। প্রতিপক্ষ আমাদের গাড়িগুলো আটকে দেয় ও যাত্রী নামিয়ে দেয়। এ নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে আমি চাঁদাবাজ। যদি সত্যিই আমি ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করি, তাহলে তার প্রমাণ থাকা উচিত। আমি যদি দোষী হই, আইন অনুযায়ী বিচার হোক।”