বনানীতে প্রায় সাত ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা সিএনজি চালকরা অবশেষে রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে সরিয়ে তাদের বিআরটিএ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এর কিছুক্ষণ আগেই গুলশান ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছিল, বনানীর বিআরটিএ সদর দপ্তরের সামনে অবরুদ্ধ রাস্তার দুই পাশেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, সকাল ১০টা থেকে ঢাকার বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন সিএনজি চালকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দুপুর ১২টার পর থেকে বনানীর প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাখালীসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত ২ থেকে ৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালকের মহানগরে চলাচলের অনুমতি মিলছে না। বারবার স্মারকলিপি দিয়েও বিআরটিএ আশ্বাস দিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে না। তাদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে জেলার ২৬টি ইউনিয়ন কেটে মহানগরে যুক্ত করা হলেও এখনো তাদের বৈধতা দেওয়া হয়নি। অথচ সেসব এলাকা এখন মহানগরের অন্তর্ভুক্ত। তাই তারা জানতে চান, এখন তাদের অবস্থান কোথায়—মহানগর নাকি জেলা? তাদের বৈধ চলাচল কেন ‘অবৈধ’ বলা হচ্ছে?
চালকরা দাবি জানান, দ্রুত তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।