সারাদেশে গরম ও আর্দ্রতার কারণে তৈরি হয়েছে অসহনীয় ভ্যাপসা আবহাওয়া। তবে সোমবার (১৪ জুলাই) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা বাড়তে পারে। সামনের পুরো সপ্তাহজুড়েই থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে সহায়ক হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫১টি আবহাওয়া স্টেশনের মধ্যে গত শনিবার ২৮টিতেই কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি, যা চলমান শুষ্ক অবস্থা বোঝায়।
তবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।
এরই মধ্যে ৮ জুলাই ফেনীতে ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা এ বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ভারী বর্ষণের ফলে ফেনীতে বন্যা দেখা দেয় এবং নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। তবে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম থাকায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নয়ন ঘটেছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাম্প্রতিক সময় তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী কিছুদিনে বৃষ্টিপাত বাড়লে তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমবে বলে আশাবাদী তারা।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্ষাকালের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকছে, কিন্তু বৃষ্টিপাত হচ্ছে কম। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরম, যা জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে।