১৯৭১-পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ অন্যান্য শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। কেন তাদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে আজ সোমবার (১৪ জুলাই) রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে পৃথক আরেকটি রুল জারি করা হয়।
রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
রিট আবেদনে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া তরুণদের আত্মত্যাগ দেশের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হলেও আজও তাদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। একইভাবে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কার ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ড. ইউনূসের অবদান বিবেচনায় তাকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করা সময়ের দাবি।
আদালতের এই রুল আদেশে শহীদদের প্রাপ্য মর্যাদা ও জাতীয় ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যথাযথ স্বীকৃতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।