জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ইমামুর রশিদ ইমনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় এক নারী তাকে গাড়ির জানালা দিয়ে ৭ লাখ টাকা দিচ্ছেন। এই ঘটনা ঘিরে রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, “রাজনীতি করতে গেলে প্রতিটি ঘটনাই রাজনৈতিক। সবকিছু নিয়েই আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পরিশুদ্ধ করতে হবে।”
ইমন তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে দাবি করেন, ভিডিওর নারী দীর্ঘদিন ধরে এনসিপিকে ৪৮ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। শুরুতে তা নিঃশর্ত হলেও পরে তিনি ‘অনৈতিক সুবিধা’ দাবি করেন। সেই সুবিধা না পেয়ে ভিডিও প্রকাশ করেন বলে দাবি করেন ইমন।
তবে বিশ্লেষক জাহেদ প্রশ্ন তোলেন, “ডোনেশন যদি হয়, তা দলের চ্যানেল দিয়ে হয়—চোরের মতো জানালা দিয়ে নয়। এটি কোনো অনুদান নয়, বরং তদবিরের টাকা বলেই মনে হয়।”
তিনি বলেন, “টাকা নিয়েও কাজ না করা আরও ভয়াবহ অপরাধ। আকবর আলি খানের ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ বইয়ে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী তিন ধরনের—সৎ, অসৎ, আর যারা ঘুষ খেয়েও কাজ করে না। ইমন এই তৃতীয় শ্রেণির উদাহরণ।”
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এনসিপি এ ঘটনার দায় স্বীকার না করে বরং ইমনের পক্ষ নিচ্ছে। “নতুন রাজনীতির কথা বললেও আচরণে তারা পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির অনুরূপ। শেখ হাসিনার আমলের মতো ডিনায়াল চলছে। নেতা বহিষ্কারের সংস্কৃতি নেই,” বলেন ডা. জাহেদ।
তিনি বলেন, “গঠনের আগেই আন্দোলনে যাঁরা ছিলেন, তাদের অনেকে ধান্দাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন। ডিসি নিয়োগ থেকে শুরু করে নানা তদবির এখনো চলমান। এনসিপি এর দায় এড়াতে পারে না।”