প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন ছাড়া কোনো বিচারব্যবস্থা কার্যকরভাবে পরিচালনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিচার বিভাগের কাঠামোগত স্বাধীনতা, অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও বৃহত্তর শাসনব্যবস্থার রূপান্তরের অংশ হিসেবে জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে “যথাসময়ে বিচার নিশ্চিত করতে পারিবারিক আদালতের পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসন” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালার আয়োজন করে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা (সেলপ) কর্মসূচি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য ন্যায়বিচার সহজলভ্য করাই আইনি সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য। দেওয়ানি কার্যবিধির সাম্প্রতিক সংশোধনের মাধ্যমে মামলার স্তর কমিয়ে বিলম্ব ও জটিলতা হ্রাসে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” তিনি ব্র্যাকের অংশীদারত্বের প্রশংসা করে জানান, বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মাঠপর্যায়ের নানা সমস্যা উঠে এসেছে—যেমন সমন জারি, মামলা স্থগিতের অপব্যবহার, অবকাঠামো সংকট এবং মানসিক সহায়তার অভাব।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, “পারিবারিক আদালতে ন্যায়বিচার মানে জয় বা পরাজয় নয়, বরং এটি নিরাময়মূলক প্রক্রিয়া—যা হওয়া উচিত দ্রুত, সহজপ্রাপ্য ও মানবিক।”
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, “ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নারীরা যেন বাধাহীনভাবে বিকশিত হতে পারেন, সেজন্য ব্র্যাক কাজ করছে। জনগণের ক্ষমতায়ন ও আইনগত সহায়তায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সহযোগী পরিচালক শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, “আমরা শুধু জটিলতা কমানোর নয়, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ করছি।”