পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে খুন হওয়া ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লালচাঁদ (৩৯) হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে একদল দুর্বৃত্ত সোহাগকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটেছিল শত শত পথচারীর সামনে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নিহত সোহাগ একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) পরদিন রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
নিহতের গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তিনি দুই সন্তানের জনক—তার মেয়ে সোহানা (১৪) ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ছেলে সোহান (১১) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। সোহাগ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ও স্বজনদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।