বয়সের শেষ প্রান্তে এসেও নিজের স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করতে না পেরে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা বাড়ির ফটকের সামনে অপেক্ষা করতে হলো ৭০ বছর বয়সী বিলকিস আক্তারকে। তাকে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে গেট বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় তার নিজের ছেলে জুমাতুল এম ইসলাম সৌরভ। ঘটনাটি আলোচনার জন্ম দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সৌরভসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১৪ জুলাই) নওগাঁ শহরের কাজীর মোড়ে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—জুমাতুল এম ইসলাম সৌরভ (৩২), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ খোকন (৪৫) এবং চান্দুর ছেলে নাহিদ ইসলাম (৩৫)।
জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে বিলকিস আক্তারের স্বামী ১০ শতক জমির ওপর দুই তলা একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর (২০২১ সালে) বিলকিস আক্তার, তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে ওই বাড়ির যৌথ মালিক হন। ছোট মেয়ে বর্তমানে কানাডায় থাকেন। বিলকিস আক্তার দুই তলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করলেও পারিবারিক বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর ধরে বড় মেয়ের বাড়িতে থাকছিলেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিনি নিজের বাড়িতে ফিরতে চাইলে ছেলে সৌরভ গেট তালা দিয়ে তার প্রবেশে বাধা দেয়। বৃদ্ধা মা বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিঁড়ির পাশেই বসে ছিলেন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে বিকেলে গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাদের সামনেই মা ও ছেলের পক্ষে লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।
থানায় আলোচনার সময়ও সৌরভ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর বিলকিস আক্তার থানায় কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
বিলকিস আক্তার বলেন,
“এই বাড়ি আমার স্বামীর স্মৃতি বহন করে। এখানে আমি আমার জীবনের শেষ সময়টা কাটাতে চাই। কিন্তু আমার ছেলে আমাকে ছোট করে, অপমান করে এবং জোর করে পুরো সম্পত্তি নিজের নামে নিতে চায়।”
অন্যদিকে, গ্রেপ্তারের আগে ছেলে সৌরভ দাবি করেন,