উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিতে আসা স্বজন ও সাধারণ মানুষের ভিড়ে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। চিকিৎসা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে হাসপাতালের প্রবেশে কড়া নজরদারি আরোপ করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে ইনস্টিটিউটে প্রবেশের জন্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। রোগীর আত্মীয়স্বজনদের জানাতে হচ্ছে, তারা কোন রোগীর সঙ্গে আসছেন, রোগীর নাম, অবস্থান এবং কোন ওয়ার্ডে ভর্তি — এসব তথ্য নিশ্চিত করেই মিলছে প্রবেশের অনুমতি।
জানা গেছে, সোমবার (২১ জুলাই) দুর্ঘটনার দিন হাসপাতালে আহতদের স্বজন, সাধারণ দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের অতিরিক্ত ভিড়ে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পক্ষে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে আজ সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালের মূল ফটকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “চিকিৎসা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা শুধুমাত্র কৌতূহলবশত হাসপাতালে আসছেন, তাদের আমরা নিরুৎসাহিত করছি।”
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৮ জন।