উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন তথ্য দিয়েছেন নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, বিমানটির ফ্রেম পুরনো হলেও ইঞ্জিনটি আপডেট করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) তিনি বলেন, “ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ ছাড়া দুর্ঘটনার কারণ নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। এখানে অনুমান বা গল্পের সুযোগ নেই। ক্ষতির পরিমাণ অপূরণীয়। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।”
ঘটনায় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭–এ দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু শিক্ষার্থী, অপর দুইজনের একজন পাইলট, অন্যজন শিক্ষিকা। এখনো ৬টি মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে।
এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত ৭৮ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, যাদের অনেকেই আশঙ্কাজনক। বার্ন ইউনিটে দুজন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর এফ–৭ বিজিআই মডেলের চীনা যুদ্ধবিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়, ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়।
ঘটনার গভীরতা নিয়ে জাতি শোকাহত, আর বিশেষজ্ঞরা ঘনবসতি এলাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।