নতুন করে চালের দাম বাড়েনি, তবে দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে অস্থিরতা চলছে। বিশেষ করে, গত দেড় মাসে মিল পর্যায়ে ৫০ কেজির বস্তায় সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে। এর ফলে, প্রতি কেজি চালের দাম ৮-১০ টাকা বৃদ্ধি পায়।বর্তমানে সরু চালের কেজি কিনতে ক্রেতাদের ৮০-৯০ টাকা গুনতে হচ্ছে, আর মাঝারি ও মোটা চালের কেজি ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই অবস্থায় চাল কেনার জন্য সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে।তবে, খুচরা বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে, আলু ও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে কেজিপ্রতি ৩০ এবং ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, মুরগির দাম একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর ও মালিবাগ কাঁচাবাজারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।চালের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। খুচরা বাজারে মিনিকেট চাল ৮০-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা, বিআর-২৮ ও পাইজাম ৬৩-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে এই দাম ছিল যথাক্রমে ৭২-৭৫, ৭৮-৮২ এবং ৫৭-৫৮ টাকা। স্বর্ণা জাতের চাল ৫৩-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।মালিবাগ কাঁচাবাজারে আসা জামিলুর রহমান বলেন, “এ সময়ে চালের দাম কম থাকার কথা, তবে তা কমেনি। ক্রেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে।” খালেক রাইস এজেন্সির মালিক দিদার হোসেন বলেন, “মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ানোর কারণে পাইকারি বাজারেও দাম বেড়েছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”কাওরান বাজারের সিদ্দিকুর রহমান জানান, মিল পর্যায়ে মিনিকেট চালের বস্তা ৩৯০০-৪০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দেড় মাস আগে ছিল ৩৩০০ টাকা। নাজিরশাইলের ভালো মানের চাল ৪০০০-৪৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩৯০০ টাকা। একইভাবে, বিআর-২৮ জাতের চালের বস্তা দাম বেড়ে ২৭০০ টাকা হয়ে গেছে, যা আগে ছিল ২৫০০ টাকা।শুক্রবার খুচরা বাজারে মুলা ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, লেবু ৩০ টাকা এবং লাউ ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের দাম ৫০-৬০ টাকা কেজি।মুরগির দামও বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ২০০-২২০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৩০০-৩২০ টাকা ছিল। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি এবং ডিমের দামও বেড়ে ১৩০-১৩৫ টাকা ডজন, পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে, খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাত্রার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে উঠেছে।