ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখনো নির্ধারিত না হলেও সম্ভাব্য সময়ের ইঙ্গিত মিলছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কিছু দৃশ্যমান সক্রিয়তা ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। যদিও বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছে, তারপরও ইসির প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ গণতন্ত্রচর্চার ক্ষেত্রে উৎসাহব্যঞ্জক।
সম্প্রতি ইসি বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম নিয়ে নতুন নীতিমালা-২০২৫ জারি করেছে। এ নীতিমালায় বিদেশি পর্যবেক্ষক অনুমোদনের চূড়ান্ত ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখা হয়েছে, যা পূর্বে সরকারের হাতে ছিল। এছাড়া, ইচ্ছামতো পর্যবেক্ষক আনার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শুধু সেই সংস্থা বা ব্যক্তি পর্যবেক্ষক হতে পারবেন, যাদের সুশাসন, নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার বা শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং নিজ দেশে নিবন্ধিত।
পর্যবেক্ষকদের আবেদন করার জন্য ৩০ দিনের সময় দেওয়া হবে। এছাড়া, জালিয়াতি বা অসততার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত কেউ পর্যবেক্ষক হতে পারবে না। এতে অতীতের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার আশঙ্কা কমবে।
এদিকে, ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগেও ভোটার তালিকা সংশোধনের সুযোগ পেয়েছে ইসি, যা নির্বাচনী তৎপরতার একটি বড় অগ্রগতি।
সব মিলিয়ে ইসির এসব উদ্যোগ আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও সুশৃঙ্খল করার পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ। গণতন্ত্রের স্বার্থে ইসির স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা বজায় থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।