বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “একাত্তর-পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব শেখ হাসিনার পরিবার নিজেদের করে নিয়েছে। অথচ প্রকৃত যোদ্ধারা ছিলেন ভিন্ন, এ সত্য আজ জনগণ জানে।”
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভা ও বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, “১ জুলাইয়ের আন্দোলনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলোর। যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী এ আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু আমরা বিভাজনের রাজনীতি করি না। আন্দোলনের কৃতিত্ব জনগণের।”
খসরু আরও বলেন, “শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলেও বিএনপি ১৬ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। ’৮৬ সালেও ছাত্র-জনতার দুর্দান্ত আন্দোলন হয়েছিল। আজ সময় এসেছে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার।”
তিনি জানান, “ওয়াসিম আকরামদের নাম ভুলে গেলে চলবে না। ওয়াসিম আকরামের নামে একটি ফ্লাইওভার করা হয়েছে এবং তার স্মরণে পার্ক গড়ার পরিকল্পনা আছে। শহিদদের স্মৃতি সবার মনে গেঁথে থাকবে।”
আলোচনা সভা শুরুর আগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও আওয়ামী শাসনামলের নানা দিক তুলে ধরে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী ও ড্যাব নেতা ডা. ইফতেখার ইসলাম লিটন। বক্তব্য দেন ডা. খুরশীদ জামিল, অধ্যাপক ড. নসরুল কাদির, ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম, সাংবাদিক নেতা শামসুল হক, আইনজীবী বদরুল আনোয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।