গাজায় ইসরায়েলের আংশিক অভিযান বিরতির সিদ্ধান্তের পর, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলে আকাশপথে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
রোববার (২৭ জুলাই) কয়েক মাস পর আবারও এই দুই দেশ প্যারাসুটের মাধ্যমে গাজায় প্রায় ২৫ টন খাবার সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে জর্ডানের এক সরকারি কর্মকর্তা।
জর্ডানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ত্রাণ সরবরাহ মিশনে অংশ নেয় দেশটির দুটি সি-১৩০ বিমান এবং আমিরাতের একটি বিমান। গাজার নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চলে এসব ত্রাণ ফেলা হয়।
এছাড়াও জর্ডান স্থলপথে ৬০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মিশরও স্থলপথে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি মোট ১২৭ বার গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলেছে।
গাজার আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় সাংবাদিক ইমাদ জানান, বেশিরভাগ ত্রাণই ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত অসামরিক এলাকায় পড়ছে। সেখানে গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ বাসিন্দাদের আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে সামান্য আশার আলো হিসেবে তিনি জানান, মিশরের রেড ক্রিসেন্ট আরও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, আকাশপথে যে পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ হচ্ছে তা সংকট মোকাবেলায় যথেষ্ট নয়। বিবিসির এক সাংবাদিক জানান, গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষের প্রতিদিনের একবেলা খাবারের জন্যই কমপক্ষে ১৬০ বস্তা ত্রাণ প্রয়োজন—যা এখনো বহুগুণে কম।
মানবিক সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।