ভুটান নারী ফুটবল লিগে ফের নাটকীয় এক জয়ের স্বাক্ষী হলো পারো এফসি। ম্যাচের শেষ সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার দুর্দান্ত গোলে থিম্পুকে ২-১ ব্যবধানে হারায় সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের পারো। শেষ মুহূর্তের ওই গোলের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও তুলে নেন ঋতুপর্ণা।
ভুটান নারী লিগে বেশ কয়েকটি ম্যাচ একতরফা হলেও পারো, থিম্পু, ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড এবং রয়েল থিম্পু কলেজ—এই চার দলের মধ্যকার লড়াইগুলো থাকে জমজমাট। আজকের ম্যাচেও পারো ও থিম্পুর মধ্যে ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রথমার্ধ শেষে কোনো দল গোল করতে না পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে পারো প্রথমে এগিয়ে যায় স্বদেশি এক খেলোয়াড়ের গোলে। কিছুক্ষণ পরেই থিম্পুর হয়ে বাংলাদেশের শামসুন্নাহার সিনিয়র গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।
ম্যাচ যখন ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছিল, তখন ঋতুপর্ণা চাকমা অসাধারণ এক গোল করে পারোকে এনে দেন পূর্ণ তিন পয়েন্ট। এর আগের ম্যাচেও তিনি ছিলেন সেরা খেলোয়াড়। সেদিন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল পারো, যেখানে ঋতুপর্ণা করেছিলেন দুটি গোল।
টানা দুই ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়ে দারুণ খুশি ঋতুপর্ণা বলেন, “আজকের ম্যাচটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। দলকে জয় এনে দিতে পেরে এবং নিজে সেরা খেলোয়াড় হতে পেরে ভালো লাগছে। এটা আমার টানা দ্বিতীয় ম্যাচ সেরা হওয়া।”
পারো ও থিম্পু—দুই দলের স্কোয়াডেই রয়েছেন মোট সাতজন বাংলাদেশি ফুটবলার। তবে সানজিদা আক্তার ঢাকায় কোচিং কোর্সে ব্যস্ত থাকায় এই ম্যাচে খেলেননি। থিম্পুর পক্ষে মাঠে ছিলেন মারিয়া ও শামসুন্নাহার, আর পারোর হয়ে খেলেছেন সাবিনা, মনিকা, ঋতুপর্ণা এবং সুমাইয়া।
টানা দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে লিগ টেবিলে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে পারো এফসি। আর এই দুই ম্যাচেই পারোর জয়ের মূল নায়িকা—ঋতুপর্ণা চাকমা