রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে কামচাটকা উপদ্বীপে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ২৫ মিনিট) রিখটার স্কেলে ৮.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলজুড়ে জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। তবে আশঙ্কা থাকলেও এ ঘটনা বড় ধরনের সুনামিতে রূপ নেয়নি।
ভূমিকম্পের পরপরই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। যদিও কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে বড় ধরনের প্রাণহানি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগাম সতর্কতা এবং আধুনিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার কারণেই এ ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।
ভূমিকম্পের কারণ
কামচাটকা উপদ্বীপটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ নিয়মিত ঘটে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটটি প্রতিবছর প্রায় ৮ সেন্টিমিটার গতিতে ওখোৎস্ক মাইক্রোপ্লেটের নিচে প্রবেশ করে। এই সংঘর্ষের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা চাপ হঠাৎ মুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প, যাকে বলা হয় ‘মেগাথ্রাস্ট’।
সুনামির প্রভাব কম কেন?
ভূমিকম্পে সৃষ্ট ঢেউ পূর্ব রাশিয়ার কিছু এলাকায় প্রায় ৪ মিটার উচ্চতা লাভ করলেও তা ভয়াবহ সুনামি হয়ে ওঠেনি। ভূমির গঠন, সমুদ্রতলের বৈশিষ্ট্য এবং ভূকম্পনের গভীরতা এর অন্যতম কারণ।
সতর্কতা ব্যবস্থায় রক্ষা
উন্নত সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থার কারণে সময়মতো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় উপকূলীয় মানুষদের। ভূমিকম্পের ১০ দিন আগেও ওই অঞ্চলে ৭.৪ মাত্রার একটি ভূকম্পন হয়েছিল, যেটি পূর্ব-ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হচ্ছে।
রাশিয়ার ভূ-ভৌগোলিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, আগামী এক মাসে আরও আফটারশক হতে পারে। তবে বর্তমান সতর্কতামূলক পদক্ষেপে জনগণ অনেকটাই নিরাপদ রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি