ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির ও চরমোনাই শায়েখ মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ আজকের বিএনপিতে নেই। তারা এখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পথে হাঁটছে। যেসব শ্লোগান আগে আওয়ামী লীগ আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করত, এখন সেসব শ্লোগান বিএনপি প্রচার করছে। বিএনপির শারীরিক ও রাজনৈতিক পরিচয় অনেকটাই বদলে গেছে; তারা জিয়ার মূল আদর্শ থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন অনির্ভরযোগ্য গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট দেশে একটি ফ্যাসিবাদ নির্মূল হয়েছে, তবে আমাদের সংগ্রাম থামেনি। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই সংগ্রাম হবে ভোটের মাধ্যমে, যেখানে আমরা নব্য ফ্যাসিবাদ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করব। বর্তমানে দেশের জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে ইসলামপন্থীরা এবং অন্যদিকে সাধারণ জনগণ। ইসলামী দলগুলোর ভোট একটি সম্মিলিত বাক্সে যাবে, যাতে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ইসলামী বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়।
মুফতি ফয়জুল করীম অপপ্রচারের ব্যাপারে বলেন, এখন একটি দল হাদিয়া ও চাঁদা—এই দুই ভিন্ন বিষয়কে একই রকম বলছে, যা সঠিক নয়। চাঁদা হলো জোরপূর্বক আদায়কৃত অর্থ, আর হাদিয়া হলো খুশিমনে দেয়া দান। চাঁদা না দিলে নির্মম শাস্তির ঘটনা ঘটে, কিন্তু হাদিয়া না দিলেও কোনো কঠোর কথা বলা হয় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিআর পদ্ধতির বাইরে কোনো জাতীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। দেশের ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমরা সোনার বাংলা, ডিজিটাল বাংলা, স্মার্ট বাংলাসহ অনেক উন্নয়ন দেখেছি এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হবে ইসলামী বাংলাদেশ।
ঝালকাঠির কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঝালকাঠি-১ আসনের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আলআমিন, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, রাজাপুর-কাঠালিয়া আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ফয়জুল হক, হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আ. রহিম খানসহ অনেকে। ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান সভার সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পরে ঝালকাঠি-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হাতপাখা তুলে দিয়ে সবাইকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।