বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমা জগতে তারকাদের ব্যক্তিগত সংগ্রাম ও গোপন জীবনের গল্প ভক্তদের সবসময়ই টানে। অনেক তারকার সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে থাকে কঠিন অতীতের কাহিনী। কেউ কেউ আজ কোটি টাকার মালিক হলেও জীবনের এক সময় কেটেছে চরম অভাবে, এমনকি না খেয়ে। তবে প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবল মিলে যে সাফল্যের দরজা খোলে—দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর জীবন তার প্রমাণ।
১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল কেরালার আলাপ্পুঝায় জন্ম নেওয়া সামান্থার বাবা তামিলনাড়ুর, মা কেরালার। শৈশব কেটেছে চেন্নাইয়ে, সেখানেই শেষ করেন স্কুলজীবন। দ্বাদশ শ্রেণির পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে উচ্চশিক্ষার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। পড়াশোনার খরচ জোগাতে শুরু করেন মডেলিং, যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
মডেলিংয়ের সময়ই পরিচালক রবি বর্মণের নজরে আসেন তিনি। এরপর গৌতম মেননের পরিচালনায় ইয়ে মায়া চেসাভে ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সামান্থার।
তবে আলোচনার বিষয়—একসময় না খেয়ে থাকা এই অভিনেত্রী আজ ১০১ কোটি রুপির সম্পত্তির মালিক। অভিনয়ের পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট, বিলাসবহুল গাড়ি এবং ফ্যাশন ব্র্যান্ডে বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছেন তিনি।
২০১৭ সালে অভিনেতা নাগা চৈতন্যকে বিয়ে করেছিলেন সামান্থা, তবে ২০২১ সালে বিচ্ছেদ হয়। কিছুদিন ২০০ কোটির ভরণপোষণের দাবি নিয়ে গুঞ্জন ছড়ালেও তা তিনি অস্বীকার করেন।
আপনি চাইলে আমি এই লেখাটিকে আরও সংক্ষিপ্ত করে নিউজ স্ক্রিপ্ট ফরম্যাটে সাজিয়ে দিতে পারি যাতে এটি টিভি বা অনলাইন সংবাদে ব্যবহারযোগ্য হয়।