চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ঢালারমুখ এলাকা থেকে মেহেদি হাসান হৃদয় (১৯) নামের এক তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার ঘরে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মেহেদি হৃদয় নঈম সওদাগর বাড়ির আবদুর রহিমের ছেলে এবং রহমত পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হৃদয়ের লেখা চিরকুটে ছিল, ‘আমার মরার পেছনে কারো হাত নেই, আমি নিজ ইচ্ছায় ফাঁসি খাইছি, ভালো থেকো আম্মু আব্বু, সবাই ভালো থেকো।’
স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, হৃদয় গত রাতে তার ঘর থেকে বের হয়। সে মোবাইল ফোন ও চিরকুট বালিশের নিচে রেখে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সে পাশের রহমত পাড়ার এক মেয়ের বিয়েতে গিয়েছিল এবং এরপর আর ফিরে আসেনি।
পরিবার চিরকুট ও মোবাইল দেখে বসতঘর থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে আতঙ্কিত হয়। স্থানীয়রা মনে করছেন এটি আত্মহত্যা। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ পরিবার বা স্থানীয়রা জানাতে পারেনি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মরদেহের ঘাড় ভাঙার চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা ধারণা করা হচ্ছে যে, হৃদয় হয়তো উঁচু জায়গা থেকে ফাঁস লাগিয়ে নিচে লাফ দিয়ে এমন অবস্থায় মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্টের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।