চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে, এবং আয় কমে যাওয়ায় সরকার ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা করছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার এবার সর্বনিম্ন হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যাংকের উচ্চ সুদহারের কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমেছে, এবং বিদেশি বিনিয়োগও সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। এর ফলে দেশের সার্বিক অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই অর্থনীতিতে চাপ অনুভূত হচ্ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এবং উৎপাদন ও আমদানিতে জটিলতার কারণে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হয়েছে। সেক্ষেত্রে, বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আইএমএফের শর্ত পূরণের কারণে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়িক স্থবিরতা নেমে এসেছে এবং বিনিয়োগও কমেছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “অর্থনীতির অবস্থা নাজুক, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় এবং রিজার্ভ ছাড়া সবকটি সূচক নেতিবাচক।”
ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি ও বিদেশি বিনিয়োগের অবস্থা এবং সরকারের শুল্ক-কর বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, সরকার আইএমএফকে খুশি করতে একের পর এক নীতি পরিবর্তন করছে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে