অব্যাহত ইসরাইলি হামলার কারণে গাজায় সৃষ্ট ‘অকল্পনীয় দুর্ভোগের’ নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যসহ মোট ২৬টি দেশ। টাইমস অব ইসরাইলের খবরে বলা হয়েছে, এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিরসনে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইইউর শীর্ষ কূটনীতিকসহ ২৬ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজায় মানবিক বিপর্যয় এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা কল্পনাতীত। সবার সামনে দুর্ভিক্ষ চলছে। এই সংকট মোকাবেলায় এখনই জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
তারা গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ‘তাৎক্ষণিক, স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা’ গ্রহণের দাবি জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৭টি সদস্যদেশ, যেমন ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড, এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে। বিবৃতিতে ইসরাইলের সমালোচনা জানিয়ে বলা হয়, ত্রাণ বিতরণের স্থান ও ত্রাণবাহী যানবাহনের ওপর প্রাণঘাতী হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এসব ত্রাণকেন্দ্রে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলের বাধার কারণে গাজা উপত্যকা দ্রুত দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরাইল গাজায় দুর্ভিক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে এবং সাহায্য বিতরণে বিলম্বের জন্য জাতিসংঘকে দায়ী করে।
এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আলাদাভাবে ইসরাইলের কাছে আবেদন জানিয়েছে, গাজার ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদের সুযোগ দেওয়ার জন্য—এমনকি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই এই অনুমতি চেয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, মঙ্গলবার ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন ত্রাণ সংগ্রহের সময় প্রাণ হারান। একই দিনে অনাহারে মারা গেছে ছয় বছর বয়সী একটি শিশুসহ আরও একজন।