খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে যে চাল ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়, সেটি ওএমএস-এ ৩০ টাকায় এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মাত্র ১৫ টাকায় পাওয়া যাবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, খারাপ মানের চাল দেওয়া হয় না। আগে রেশনের চাল রান্না করলে দুর্গন্ধ আসত এবং তাতে নানা ধরনের ওষুধপত্র থাকত, কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য দেন। উপদেষ্টা জানান, আগামী ১৭ আগস্ট থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। গত বছর পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় পাঁচ মাসে ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো, এবার এটি বাড়িয়ে ৫৫ লাখ পরিবার ও ছয় মাসে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে চাল বিতরণ হবে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আমন ফসল ওঠায় ওই সময়ে কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সফল বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে, যার মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল। আমন মৌসুম ভালো হলে আমদানি কম লাগবে। ভূমি খাতে প্রযুক্তির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন নামজারি ও খতিয়ান ডিজিটালি করা যায়, যদিও কিছু ক্ষেত্রে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে তা বড় প্রতিবন্ধক হবে না। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ ধীরে ধীরে কমে আসবে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাঁধ মেরামত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হতদরিদ্ররা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসবে এবং ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।