পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দিনের ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩৪৪ জনে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, যেখানে ৩২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা प्रभावित নয়টি জেলায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে উদ্ধারকাজে থাকা একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ক্রু পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ভারী বর্ষণে পাকিস্তানের কাশ্মীর, গিলগিট-বালতিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া, বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি বাড়ি আংশিক এবং ১৪টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। গিলগিট-বালতিস্তানে ১৪টি আংশিক ও তিনটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজাদ কাশ্মীরে ২৩টি আংশিক ও ২৮টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
রাস্তা বন্ধ এবং মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং জরুরি সরঞ্জাম পাঠানো অনেক এলাকায় কঠিন হয়ে পড়েছে।
১৫ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বন্যাকবলিত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।