বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং আদালতের অনেক বিচারপতি জামায়াতের প্রভাবশালী ব্যক্তি। অথচ বিএনপি নেতাকর্মীরা লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড ও ফেরিঘাট দখল নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, “আমি জামায়াতের সমালোচনা করছি না, শুধু পার্থক্যটা বোঝাতে চেয়েছি।” গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জেলা শহরে নিজ বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি। পরে তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, “শুধু নেতা হলেই হবে না, নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকতে হবে। যদি নেতা মনে করেন চাঁদাবাজি আর দখলবাজিই তার প্রধান কাজ, তাহলে নেতৃত্ব কোথায় থাকবে?”
এর আগে গত মঙ্গলবার দুমকি উপজেলার এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “পটুয়াখালীতে এখন আর আওয়ামী লীগ নেই। চাঁদা দিয়ে সবাই বিএনপির হয়ে গেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট–পরবর্তী সময়ে যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের নাম, ঠিকানা ও ছবি আমাদের এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে। সময়মতো সব প্রকাশ করা হবে, কেউ পালাতে পারবে না।”
তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিএনপির ভেতরেও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বলেন, “লঞ্চঘাট ও বাসটার্মিনাল ইজারার মাধ্যমে চলছে। এক–এগারোর সময়ও তিনি দলের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী মন্তব্য করেছিলেন, এখনো তা-ই করছেন।”
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার বলেন, “এ ধরনের মন্তব্য তিনি ইচ্ছে করে নাকি অজান্তে করেছেন, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে এমন বক্তব্যের কারণে তিনি মানুষের কাছে হাসির পাত্র হয়েছেন