অবরুদ্ধ গাজা শহর থেকে বাসিন্দাদের স্থানান্তরের ইসরায়েলি পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ‘গণহত্যা ও বাস্তুচ্যুতির নতুন ঢেউ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। গোষ্ঠী এই পদক্ষেপকে তীব্র নিন্দার সঙ্গে প্রতিহত করেছে। রোববার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় তাঁবু ও আশ্রয় সরঞ্জাম স্থাপনের ইসরায়েলি উদ্যোগ ‘প্রকাশ্য প্রতারণা’ হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দক্ষিণে বাসিন্দাদের সরিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। রোববার থেকে গাজা শহরের দক্ষিণে বাসিন্দাদের জন্য তাঁবু ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবিক উদ্দেশ্যের ছদ্মবেশে তাঁবু স্থাপন মূলত নির্মম অপরাধ ঢাকতে ব্যবহৃত একটি প্রতারণামূলক কৌশল।
চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে নতুন সামরিক অভিযান শুরু করবে। এই পরিকল্পনা নিয়ে সেখানকার প্রায় ২২ লাখ মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করে। এদের মধ্যে শেষ ৫০ জনের অন্তত ২০ জন এখনও জীবিত। হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও হাজার হাজার আহত হয়েছেন। গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং উপত্যকার বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।