বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের কিছু দোসর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে দেশের মধ্যে নাশকতার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদেরকে মিলিটারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। “আপনারা দেখেছেন, এ ঘটনায় একজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। তাহলে তারা আরও কত ধরনের কর্মকাণ্ড করছে?”—রিজভী প্রশ্ন করেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। নীলফামারী জেলা বিএনপি’র নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রিজভী উল্লেখ করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৬ হাজার ৩৯৯ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন, যার ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগের দলীয় লোক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই মানুষগুলো যদি পোলিং বা প্রিজাডিং অফিসার হয়, তাহলে কি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব? এদের যোগ্যতা নির্ধারিত হয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কার্যক্রমের ভিত্তিতে। তাই তাদের প্রশাসন থেকে সরানো প্রয়োজন। রিজভী বলেন, “আমরা চাই না বিএনপির লোক নিয়োগ হোক, বরং নিরপেক্ষ লোকদের নিয়োগ দেওয়া হোক।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত ১৫ বছরে পুলিশ ও প্রশাসন ছিল আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী। তাই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা বিষয়গুলো নজরে রাখবে।”
রিজভী জানান, ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন দিয়ে তা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসন থেকে আওয়ামী ক্যাডার সরিয়ে মাঠ পর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
তিনি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির বিরোধিতা করে বলেন, “জনগণ এই ধরনের নির্বাচনী পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত নয়। বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতি উপযোগী নয়। যারা পিআর দাবি করে, তাদের উদ্দেশ্য নিয়েই সন্দেহ থেকে যায়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “সকল মতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। ছাত্র প্রতিনিধিরা থাকলেই শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চা টিকে থাকে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।”
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম, সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ রুবেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহারিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।