বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষে বন ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় হাতি সংরক্ষণে নতুন বহুমুখী উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা, করিডর চিহ্নিত করে মুক্ত রাখা এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের বড় দাবি।
উপদেষ্টা জানান, প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হবে ৩৫০ হেক্টরের খাদ্যোপযোগী গাছের বাগান, ৫০ হেক্টরের বাঁশবাগান, ১০ কিলোমিটার ইকোলোজিক্যাল বাউন্ডারি বায়োফেন্স, ১৬টি ট্রি টাওয়ার, এবং দুটি হাতি উদ্ধার কেন্দ্র গাজীপুর ও ডুলাহাজারায়। এছাড়া অস্থায়ী শেড স্থাপন করা হবে সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও শেরপুরে। চট্টগ্রামের চুনতিতে ১০ একর জমিতে নতুন অভয়ারণ্য স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পে এলিফ্যান্ট রিজার্ভ সংলগ্ন এলাকায় অ্যান্টি ডেপ্রেডেশন স্কোয়াড (এডিএস), এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) এবং এলিফ্যান্ট রেসকিউ টিম গঠন করে কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল হাসান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান, বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব এবং বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী।