মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারতের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে অপরিশোধিত তেল বিক্রি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শুধু তাই নয়, দেশটি প্রায় ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেবে বলেও জানিয়েছে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার উপ-ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ইভগেনি গ্রিভা বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভারতের জ্বালানি আমদানি অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, ছাড়ের বিষয়টি ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে, যা সাধারণত ৫ শতাংশের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। এ সময় রাশিয়ার উপ-মিশন প্রধান রোমান বাবুশকিনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বহিরাগত চাপ থাকা সত্ত্বেও ভারত-রাশিয়া জ্বালানি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়ন করছে। এর প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টারা দাবি করছেন, ভারত রাশিয়ার তেলকে প্রক্রিয়াজাত করে উচ্চমূল্যে রপ্তানি করছে, ফলে মস্কো ডলার পাচ্ছে।
ভারত অবশ্য এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি নতুন মার্কিন শুল্ককে ‘অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। এতে টেক্সটাইল, সামুদ্রিক পণ্য ও চামড়ার মতো খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক চাপের মুখে দিল্লি পিছু হটবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এশিয়ার দুই বৃহৎ অর্থনীতি ভারত ও চীন রাশিয়ার তেলের বড় ক্রেতা। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার ওপরই শুধু নয়, ক্রেতাদের ওপরও মার্কিন দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক জ্বালানি ও বাণিজ্যনীতিতে।