নোয়াখালীর উপকূল এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলছে বিরতিহীন বৃষ্টি, আর এতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বর্তমানে হালকা থেকে মাঝারি আকারে অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে প্রবল দমকা হাওয়ায় নৌ ও সমুদ্রপথে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘন মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন বলেন, “সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারগুলো কূলে বাঁধা রয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় দোকানপাট প্রায় ফাঁকা, লোকজন ঘরে অবস্থান করছে।” আরেক বাসিন্দা আবু সালেহ সাদ জানান, নদী অশান্ত থাকায় নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে এক প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্তে যেতে পারছেন না। নিম্ন আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সমুদ্রে থাকা নৌযানগুলোকে উপকূলে ফিরে আসতে এবং উপকূল এলাকায় সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “হাতিয়া দ্বীপ উপজেলা হওয়ায় খারাপ আবহাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে উপকূলজুড়ে ঝোড়ো হাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তার ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”