বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান চীন সফরে গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তার এই সফরকে ঘিরে নতুন করে আলোচনায় এসেছে চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য কৌশলগত জোটের বিষয়টি।
সফরের সময়টিও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ একই সময়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই অবস্থান করছেন পাকিস্তানে। আবার শনিবার পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার ঢাকায় আসবেন। ফলে কূটনৈতিক অঙ্গনে ত্রিদেশীয় সমীকরণ নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন এক আন্তর্জাতিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চীন ও পাকিস্তান। প্রায় এক দশক ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া সার্কের বিকল্প হিসেবে এ উদ্যোগকে সামনে আনতে চাইছে দুই দেশ। সেই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকেও যুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনও বলেছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় কৌশলগত জোট গঠনে তারা আগ্রহী। তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ প্রস্তাবে বাংলাদেশ এখনো সম্মত নয়। ঢাকা প্রকাশ্যে এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে একাধিকবার তাদের অবস্থান বেইজিংকে জানিয়েছে। তবুও চীন নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের চীন সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এ সফরে ত্রিদেশীয় জোট নিয়ে সরাসরি কোনো আলোচনা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সফরকালে সেনাপ্রধান চীনের সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে মূলত দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদারের বিষয়েই আলোচনা হবে।