পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত ও ভাঙনের কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে ঘাট এলাকায় ভাঙনের ফলে র্যাম্প পানিতে ডুবে যাওয়ায় ঘাটটিতে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়।
অপরদিকে, মেরামতের কারণে ৩ নম্বর ঘাটও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এর ফলে দুপুর পর্যন্ত ফেরি চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন দেখা দেয়। বর্তমানে পাটুরিয়ার ৫টি ফেরিঘাটের মধ্যে কেবল দুটি ঘাট ব্যবহার করে ফেরি পারাপার হচ্ছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা এবং রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ ব্যবহার করে। নদীর চলমান ভাঙনের কারণে নৌপথে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, যা যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য দৈনন্দিন ভোগান্তির কারণ হচ্ছে।
ট্রাকচালক মিজান বলেন, “মালামাল সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে ব্যবসায়ীদের চাপ সহ্য করতে হয়। অন্যদিকে সময় ও পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে যায়। পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে স্রোতও বেড়ে যায়, তাই প্রতিদিন এক বা একাধিক ঘাট বন্ধ থাকে, কোনো স্থায়ী সমাধান নেই।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মো. সালাম হোসেন জানান, নদীর তীব্র স্রোত ও ভাঙনের পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়মিত মেরামতের কাজ চলছে। তবে স্থায়ী সমাধান আসতে হবে নদী শাসন প্রকল্পের মাধ্যমে। ভেঙে যাওয়া ঘাট মেরামত করে পুনরায় চালু করার জন্য কাজ চলছে।