বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের মনোনীত সংসদ প্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল। যে দেশ থেকে তারা এসেছিল, শেষ পর্যন্ত সেখানেই ফিরে গেছে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় আওয়ামী লীগের ভারত-নীতি বিরোধিতা করে আসছে। এই কারণেই আওয়ামী লীগ ও ভারত কখনো জামায়াত-শিবিরসহ ইসলামী দলগুলোকে মেনে নেয়নি এবং এখনো গ্রহণ করছে না। সুযোগ পেলেই তারা দেশ থেকে ইসলাম মুছে ফেলার পরিকল্পনা করে রেখেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ পৌরশহরের হাইস্কুল মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ছিল দেশ ধ্বংস করে ভারতের স্বার্থ বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে বিলুপ্ত করা। কিন্তু ৩৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ মুগ্ধরা জীবন দিয়ে তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে নতুনভাবে স্বাধীনতার পথ রচনা করেছেন। সেই নতুন স্বাধীনতার ধারা ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। সেই আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। ভোটাররা যেন নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারে, সেই নিশ্চয়তা প্রশাসনকে দিতে হবে। ইতোমধ্যে একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচাল করতে এবং ভোটারদের আতঙ্কিত করতে নানা অরাজনৈতিক ও আইনবহির্ভূত বক্তব্য দিচ্ছে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে সবার আস্থা অর্জন করতে হবে।
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জামায়াত সব সময় দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে আসছে। তাই ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনারা নির্ভয়ে আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কেউ যদি ভোটকেন্দ্রে বাধা দিতে আসে কিংবা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখায়, আমাদের নেতাকর্মীরা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে এবং ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে সহায়তা করবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা আমির কামারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে উপজেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির শাহ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মিনহাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে তিনি পৌরশহরের আম্বিয়ার মোড় জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী দলগুলোকে ক্ষমতায় আনা জরুরি। সৎ মানুষ ছাড়া সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না। তাই কোরআন-হাদিসের আলোকে দেশ চালাতে হলে ইসলামপন্থি যোগ্য ও সৎ মানুষদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। তিনি মুসল্লিদের কাছে দোয়া চান যেন জীবনের বাকি সময় জনগণের খেদমত করতে পারেন।