দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় দেশ মালয়েশিয়া বিদেশিদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি–পিআর) ব্যবস্থা চালু করেছে। বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের নাগরিক নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই সুযোগ নিতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১৪ হাজার টাকা।
স্থায়ী বসবাসের সুবিধা
পিআর পেলে বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় অবাধে বসবাস, চাকরি ও পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। যদিও এটি নাগরিকত্বের সমান অধিকার (যেমন ভোটাধিকার) দেয় না, তবে ভিসাভিত্তিক অবস্থানের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে স্থানীয়দের মতোই সুযোগ ভোগ করা যাবে।
রেসিডেন্স পাস কী?
‘রেসিডেন্স পাস’ হলো দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের অনুমতি, যা মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩-এর ১৬এ ধারায় নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির বিদেশিদের দেওয়া হয়।
আবেদন করতে পারবেন যারা
- মালয়েশিয়ার নাগরিকের স্বামী/স্ত্রী ও ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তান
- মালয়েশিয়ান নাগরিকের বাবা-মা বা শ্বশুর-শাশুড়ি
- মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দার স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান
- প্রাক্তন মালয়েশিয়ান নাগরিক, যারা নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বা হারিয়েছেন
শর্তাবলি
- আবেদনকারীর পাসপোর্টে ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে
- বৈধ দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় মালয়েশিয়ায় থাকতে হবে
- নাগরিকের পরিবারের জন্য কমপক্ষে ৩ বছর এবং স্থায়ী বাসিন্দার পরিবারের জন্য অন্তত ৫ বছর বসবাসের প্রমাণ দেখাতে হবে
- আবেদন অবশ্যই ২১ বছরের বেশি বয়সী একজন মালয়েশিয়ান নাগরিকের স্পনসরশিপে জমা দিতে হবে
- নথি জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারী ও স্পনসর উভয়কেই ইমিগ্রেশন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে
ফি ও সুযোগ
রেসিডেন্স পাসের পাঁচ বছরের ফি ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৪ হাজার ৩৫০ টাকা। এই পাসধারীরা অন্য কোনো ভিসায় রূপান্তরের ঝামেলা ছাড়াই মালয়েশিয়ায় কাজ, পড়াশোনা এবং ব্যবসা করতে পারবেন (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে)।