জানিয়েছেন, গাজার চলমান যুদ্ধ দ্রুতই সমাপ্তির পথে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতির একটি ভালো, চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটবে।”
তবে এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসন একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি যুদ্ধ শেষ হবে, নাকি এটি শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য?
গাজায় পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। খাদ্য সংকট, আশ্রয়হীনতা, চিকিৎসার অভাব এবং লাগাতার হামলায় প্রাণহানি বাড়ছে প্রতিদিন। ট্রাম্প এ বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, “এটি শেষ হতেই হবে, কারণ ক্ষুধা ও অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে নির্মম মৃত্যু ও প্রাণহানি বেড়েই চলেছে।”
তবে বিতর্কিত প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন, যা বিশেষজ্ঞদের মতে জাতিগত নিধন বা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্য বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। গাজার সাধারণ মানুষ যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশায় দিন গুনছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অবস্থান এখনো জটিল। বিশ্ব সম্প্রদায় তাই অপেক্ষায়—ট্রাম্পের আশ্বাস কি কেবল কথার খেলা, নাকি সত্যিই আসছে এক শান্তিপূর্ণ সমাধান?