ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আজিজুল ইসলাম আজিজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও অন্যান্য অপকর্মের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে দলীয় তদন্ত কমিটি। অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির দখলের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।
ধারণা করা হচ্ছে, অভিযোগগুলো যাচাই ও পর্যবেক্ষণের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিএনপির অঞ্চলভিত্তিক টিম-৬ কে। টিমের নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশিদ হারুন। তদন্ত শেষে কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ প্রতিবেদন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে জমা দেয়। প্রতিবেদনের অনুলিপি বিএনপির মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবকেও পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজিজ ২০১৭ সালের আগে বিএনপির রাজনীতিতে অংশ না থাকলেও সূত্রাপুর থানার সাধারণ সম্পাদক পদ নিজের করে নেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর অসদুপায় ব্যবহার করে কমিটিতে বহিরাগত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদায়ন করেন। এছাড়া স্থানীয় ভূমিদস্যুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির দখল করার চেষ্টা চালান।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় নিরীহ ও ব্যবসায়ী মানুষদের আসামি করার মাধ্যমে মামলা বাণিজ্য চালিয়েছেন আজিজ। এছাড়া ওয়াল্টার রোডের আশালতা পরিচ্ছন্ন নিবাসে ৪৫টি ফ্ল্যাট দখল ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে।
টিমের নেতারা জানান, আজিজ দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নিজের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। যদি আগামী কমিটিতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়, তবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।