মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে জানান, ঘটনাস্থলের ধরন দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল হেলিকপ্টার থেকেই গুলি চালানো হয়েছিল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
মামলার ২৭তম সাক্ষী হিসেবে ডা. মোস্তাক আহমেদ তার জবানবন্দিতে জানান, গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা না দিতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ডাক্তাররা চাপ সৃষ্টি করতেন। তারা বলতেন, এসব আহতরা সন্ত্রাসী—তাদের প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতি দেখানো যাবে না।
তিনি আরও জানান, আন্দোলনকারীদের চিকিৎসায় বাধা দিতে গত বছরের ২৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচজন চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়া হয়।
তার বক্তব্যে উঠে আসে, গুলিবিদ্ধদের যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হতো, তখন শহীদুল্লাহ হলের সামনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের পরিচয় যাচাই করতো। অনেকে আন্দোলনকারী হিসেবে শনাক্ত হলে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়া হতো।
এ মামলায় ইতোমধ্যেই দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ২৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। এর আগে সাবেক আইজিপি মামুন দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হন এবং ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেন। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।