ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি ২০১৫ সালে তার যাত্রা শুরু করেন। মজার ভ্লগ এবং প্রাঙ্ক ভিডিওর মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং দ্রুত দেশের অন্যতম আলোচিত ইউটিউবারে পরিণত হন। বর্তমানে তার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি।
তবে তার জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখেও পড়েছেন আফ্রিদি। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় সিআইডির বিশেষ অভিযানে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ায় আবারও আলোচনায় এসেছেন।
সাবস্ক্রাইবার থেকে শীর্ষে ওঠা:
২০১৫ সালে দেশে ইউটিউবার সংখ্যা খুব কম ছিল। ধারাবাহিক ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে তিনি এক লাখ সাবস্ক্রাইবার অর্জন করেন। দুই বছরের মধ্যে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১০ লাখে। যুক্তরাজ্য থেকে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে প্রাঙ্ক, কমেডি নাটক এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার দিয়ে দেশের শীর্ষ ইউটিউবার হয়ে ওঠেন।
দীঘির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা:
আফ্রিদি এবং মডেল-চিত্রনায়িকা দীঘিকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত। তাদের আড্ডার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও দীঘি বারবার জানিয়েছেন, তারা শুধুই ভালো বন্ধু।
বিয়ে নিয়ে বিভ্রাট:
গত বছর আফ্রিদির বিয়ের সাজের ছবি ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, তিনি রিসা নামে যমজ বোনকে বিয়ে করেছেন। এই বিভ্রাট সামাজিক মাধ্যমে মজার মন্তব্যের কারণ হয়।
নীরবতা ও সমালোচনা:
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আফ্রিদি অন্যদের মতো সরব ছিলেন না। আন্দোলনের কিছুদিন আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও ভিডিও শেয়ার সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরে আফ্রিদি ফেসবুকে ক্ষমা চেয়েছেন, তবে অনেকেই সেটিকে প্রহসনের মতো দেখেছেন।
দশ বছরের ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে এগিয়েছেন আফ্রিদি। এবার গ্রেপ্তারের ঘটনায় তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন।