রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার তিনটি পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, কামরুল ইসলাম, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন।
রাসেল মিয়া হত্যা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সাবেক ওসি আবুল হাসানকে, মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামকে এবং ইমরান হাসান হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শকরা আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানির দিন বুধবার ধার্য করা হয় এবং ওইদিনই আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত পুলিশের আবেদনের ওপর গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
রাসেল হত্যা মামলার বিবরণী অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই কুতুবখালী পকেট গেইট এলাকায় রাসেল মিয়া আন্দোলনে অংশ নেন। বিকেলে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯ জুলাই রায়েরবাগ বাস স্ট্যান্ডে আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রান্ত গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় তার চাচা নাদিম ৯৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ইমরান হত্যা মামলায়, আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ গুলি চালিয়ে ইমরান হাসানকে হত্যা করে। ১ সেপ্টেম্বর তার মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।