বরিশালের মুলাদীতে জমা রাখা টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাইতে গিয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, বাবার আদেশে দুই ভাই মিলে তাদের আরেক ভাইয়ের দুই চোখ তুলে নিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামে আশেদ ব্যাপারীর বাড়িতে। আহত রিপন ব্যাপারী (৩৬) আশেদ ব্যাপারীর সেজো ছেলে। তার মেজো ভাই রোকন ব্যাপারী এবং ছোট ভাই স্বপন ব্যাপারী মিলে এই নৃশংসতা ঘটায়।
ভুক্তভোগীর ছেলে আব্দুর রহমান জানান, তার বাবা চাচা রোকনের কাছে গচ্ছিত রাখা ৩৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত চান। এ নিয়ে প্রথমে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে বাড়ি ফেরার পর বাবার নির্দেশে রোকন ও স্বপন মিলে রিপনের ওপর হামলা চালিয়ে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলে। এরপর চোখগুলো তাদের বাবার হাতে তুলে দেয়।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত রিপনকে উদ্ধার করেন। প্রথমে তাকে গৌরনদীর আশুকাঠি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
মুলাদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাই তাদের আপন ভাইয়ের চোখ উপড়ে নিয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা আশেদ ব্যাপারী, মেজো ভাই রোকন এবং ছোট ভাই স্বপন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।